বিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

সুবিশাল পাহাড়পাহাড়ী নদীঝরনা আর দক্ষিণ এশিয়ার বহত্তর কৃত্রিম কর্ণফুলী হ্রদ (কাপ্তাই লেক) পরিবেষ্টিত রাঙ্গামাটি শহরের প্রাণকেন্দ্র রিজার্ভ বাজার-এ-১৯৭০ খ্রীষ্টাব্দে অত্র এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্বসমাজ হিতৈষীজ্ঞানতাপস মরহুম হাজী আবদুল বারী মাতব্বর সাহেবের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় শহীদ আবদুল আলী একাডেমি (যার পূর্বনাম-কায়দে আজম মেমোরিয়াল একাডেমি)। ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দে মহান স্বাধিনতা যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এই প্রতিষ্ঠানটি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় মহান স্বাধিনতার ঐতিহ্য লালন করে আসছে। স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালীন জেলা সদরে অবস্থিত এই বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তৎকালিন মহকুমা প্রশাসক জনাব মোঃ আবদুল আলী EPCS যুদ্ধ চলাকালীন সময় ২৭ এপ্রিল ১৯৭১ খ্রি: স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করতে গিয়ে পাকহানাদারদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন। স্বাধীনতাত্তোর দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী মহান মুক্তিযোদ্ধা জনাব আবদুল আলীকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম হাজী আবদুল বারী মাতব্বর সাহেবের প্রস্তাব অনুসারে বিদ্যালয়ের পুন: নামকরণ করা হয়  শহীদ আবদুল আলী একাডেমি ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটি পার্বত্য এলাকায় মাধ্যমিক শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অনেক শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব নিজেদের শ্রমআর্থিক অনুদানও সাহায্যে সহযোগীতার মাধ্যমে বিদ্যালয়টিকে মহীরূহে রূপান্তরিত করেছে।